মুমিনুল বললেন-কথা দিলাম, বড় ইনিংস আসছে!

পেছনের ৬ টেস্টে হার। যার মধ্যে পাঁচটিতে আবার ইনিংস ব্যবধানে পরাজয়। সর্বশেষ পাঁচ টেস্টের দশ ইনিংসের কোনোটিতেই বাংলাদেশ দলীয়ভাবে ৩০০ রানও করতে পারেনি। সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ২৩৩, রাওয়ালপিন্ডিতে। শুধু দল হিসেবেই নয়, বড় ইনিংস গড়ার ক্ষেত্রে এককভাবেও ব্যর্থ হয়েছেন ক্রিকেটাররা। এই সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৪ রানের ইনিংস এসেছে মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে।

কেন ব্যাটসম্যানরা ইনিংস বড় করতে পারছেন না। সেঞ্চুরি আসছে না কেন? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হকও। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টে সেই উত্তর মিলবে বলে আশাবাদী তিনি। শুধু আশাবাদীই নয়, মুমিনুল প্রায় গ্যারান্টিই দিয়ে দিলেন-‘আসছে, বড় ইনিংস আসছে!’

মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে ঢাকা টেস্টে নামার আগে শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল কথা দিলেন-‘মানুষের একটু খারাপ সময় যায়। সম্ভবত দল হিসেবেও আমরা সেই খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমরা সেই বাজে অবস্থা থেকে বেরিয়ে জন্য আসার কাজ করছি। আশা করছি শিগগিরই সেই সমস্যার সমাধান পাব। ইনশাল্লাহ আমি কথা দিলাম আমাদের পুরো দল বড় ইনিংস খেলতে পারবে। এককভাবে কেউ শুধু একশ না, দুশো বা তিনশ রানের ইনিংসও খেলে দিতে পারে। যে কেউ একজন বড় ইনিংস খেলবেই ইনশাল্লাহ!’

তবে প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে বলেই যে সবকিছু এই টেস্টে বাংলাদেশ সহজেই পেয়ে যাবে-এমন উচ্চাশার বিরুদ্ধে সতর্কতাও ঠিকই জারি করছেন বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক-‘টেস্ট ক্রিকেটে কোনো দলকেই খাটো করে দেখার কিছু নেই। সব দলই ভালো। আমি জিম্বাবুয়েকেও সবসময় ভালো দল হিসেবেই গণ্য করে আসছি। এবারও সেই ধারণা নিয়েই তাদের বিপক্ষে মাঠে নামব।’

টানা হার জেতার মানসিকতাও নষ্ট করে দেয়। টেস্ট ক্রিকেটে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের নতজানু মার্কা পারফরম্যান্স পুরো দলকে কঠিন সমালোচনার মুখে ফেলছে। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয় ছাড়া অন্য কোনো পারফরম্যান্স মানেই বাংলাদেশের আরেকটু পিছিয়ে পড়া। এমন পরিস্থিতিতে বাড়তি একটা চাপ নিয়েই ঢাকা টেস্টে খেলতে নামছে বাংলাদেশ। মুমিনুল সেই প্রসঙ্গে বললেন-‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চাপ তো থাকবেই। সেই চাপ নিয়েই আপনাকে ক্রিকেট খেলতে হবে। এটাই স্বাভাবিক। এই চাপ সইতে না পারলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টেকা কঠিন। আমরা যদি ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, জিততে পারি তাহলে অনেক কিছুই বদলে যাবে। আমরা যে আগে হেরেছি সেই ফল হয়তো বদলে দিতে পারব না। তবে যে বাজে অবস্থার মধ্যে ছিলাম সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারব।’

এই টেস্টের অন্য নাম তাহলে-অবস্থা বদলের ম্যাচ!